স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের ফারুকী পার্কে গিয়ে সূধী সমাবেশে মিলিত হয়।
র্যালিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শহরের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
র্যালি শেষে ফারুকী পার্কে অনুষ্ঠিত সূধী সমাবেশস্থলে বড় পর্দায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
পরে পদ্মা সেতুর প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়।
সূধী সমাবেশে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, নেতৃত্ব যদি বঙ্গবন্ধুর হাতে থাকে তাহলে বাঙালী পারে। নেতৃত্ব যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে থাকে তাহলে বাঙালী পারে। বাঙালী সক্ষম জাতি। কেবল প্রয়োজন সক্ষম নেতৃত্বের।
প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার সক্ষম নেতৃত্বের কারনে পদ্ধা সেতু নির্মিত হয়েছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে পুরো দেশের স্থায়ী সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। এতে আর্থ সামাজিক ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক প্রচেষ্টায় পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এ জন্যে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্যালুট জানাই।
পরে সমাবেশ স্থলে আবৃত্তি ও সঙ্গীতের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নৃত্য পরিবেশন করা হয়।