স্টাফ রিপোর্টার:
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফের মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শোকসভা ও শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের উদ্যোগে শোক র্যালি ও শোকসভা এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার উদ্যোগে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার দুপুরে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত¡র থেকে শোক মিছিলে হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে গিয়ে শোক সভায় মিলিত হয়।
পরে সেখানে তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি রোকেয়া দস্তগীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আবদুল মান্নান সরকার, নারী সংগঠক নন্দিতা গুহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ডা. অরুনাভ পোদ্দার, কবি মনির হোসেন, আল-আমীন শাহীন, নীহার রঞ্জন সরকার, সঞ্জীব ভট্টাচার্য, এম এ মতিন শানু, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, শামীম আহমেদ, নুরুল আমীন, আবুল খায়ের, মনিরুজ্জামন ভ‚ঁইয়া শিপু প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘হাসান আরিফ শুধু আবৃত্তি শিল্পী ছিলেন না, তিনি একজন শিশুবান্ধব ও বড় মনের অধিকারি ছিলেন। তিনি মানুষের কথা বলতেন, দেশের কথা বলতেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কথা বলতেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কথা বলতেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাসান আরিফ গত বছরের ২ ডিসেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইশড হসপিটালে ভর্তি হন। গত ১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর পৈতৃক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের দরিয়াদৌলত গ্রামে।