
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ও তাঁর ছেলে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক নারী ইউপি সদস্য। সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য ইসরাত জাহান এ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য।
লিখিত বক্তব্যে ইসরাত জাহান বলেন, ফিরোজুর রহমান ওলিও ও তার ছেলে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুককের বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছে তাদেরকে মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। তার মদদপুষ্ট স্থানীয় খায়ের মেম্বারকে দিয়ে সকল অপকর্ম করিয়ে চলেছেন। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে এই খায়ের মেম্বার বিপুল অংকের অর্থ কামিয়েছেন। ইতিপূর্বে শেখ ওমর ফারুকের নির্বাচন না করায় সে প্রকাশ্যে আমার ছেলে শফিকুল ইসলাম হৃদয়কে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এর প্রতিবাদে আমি আদালতে মামলা দায়ের এবং প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করি। এরই জেরে একটি সংস্থাকে হাত করে আমার ছেলে হত্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছেন ফিরোজুর রহমান ওলিও। পরে আদালতে মিথ্যা ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেখিয়েছে। এই মিথ্যা জবানবন্দির বিরোদ্ধে আমরা আদালতে রিট্যেক পিটিশন জমা দিয়েছি, যা আদালত আমলে নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের মতিলাল চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও’র নির্বাচন না করায় স্থানীয় বিরামপুর বাজার থেকে সাধন চৌধুরী নামক এক সংখ্যালঘুকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এসময় গ্রামের লোকজনের সহায়তায় সে রক্ষা পায়। এই ঘটনায় সাধন চৌধুরী বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় ফিরোজুর রহমান ওলিও’র বিরোদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় মিমাংসা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা প্রবাভশালী এই পিতা-পুত্রের অত্যাচার থেকে বাঁচতে স্থানীয় এমপি ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, ‘তাদেরকে কেন হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানেন। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার বিরোদ্ধে অপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কমল চৌধুরী, অমিওবালা চৌধুরী, অমল চৌধুরী, সৌরভ সরকার, কাশেম মিয়া প্রমূখ।