স্টাফ রিপোর্টার:
গত ২৬-২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নারকীয় তান্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারক উল্লাহ সহ হেফাজতের শীর্ষ নেতারা দুইমাস পরও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাইল আইনে দায়েরকৃত এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর এজহারটি একমাসেও নথিভুক্ত করেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামলীগ, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক উল্লাহ সহ নেতাদের বিরুদ্ধে এমপির এজহার নথিভুক্ত করে তাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ব্যানারে শতশত মানুষের একটি মিছিল শুরু হয়ে শহরের কাউতলী মোড় সৌধ হিরন্ময় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ মানুষ সমাবেশ করে হেফাজত নেতাদের গ্রেফতারের দাবী জানায়।
এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক হায়ত-উদ-দৌলা খান।
স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, পৌর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম মিয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আহবায়ক আবদুন নূর, হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি শাহআলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন আহবায়ক মো. মনির হোসেন, জেলা যুবলীগ সভাপতি এডভোকেট শাহানুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়, রেলওয়ে স্টেশন,পৌরভবন,জেলা শিল্পকলা একাডেমী,সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন,জেলা গণগ্রন্থাগার,জেলা শিশু একাডেমী,পুলিশ লাইন সহ অর্ধশত সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এসকল ঘটনার উস্কানীদাতা হিসাবে হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারক উল্লাহ সহ হেফাজতের ১৪ নেতার বিরুদ্ধে গত ১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আইনজীবির মাধ্যমে এজহার দায়ের করেন। কিন্তু একমাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেনি।