স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একটি পুকুর থেকে মাছের পোনা ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। ঘটানাটি ঘটেছে নাটাই দক্ষিন ইউপির কালিসীমা গ্রামে। হামলায় ওই গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ মামুন মিয়া, লিটন মিয়া ও তার বৃদ্ধা মা হাজেরা বেগম আহত হন। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত মোঃ মামুন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মামুনদের সাথে তাদের প্রতিবেশী চাচাত ভাই আনার মিয়া, বেদন মিয়া ও ডালিম মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও মনোমালিন্য চলে আসছে। মামুন অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির পাশেই তাদের একটি এজমালি পুকুর থাকলেও সেখানে তার চাচাত ভাইয়েরা তাদেরকে ন্যায্য হক থেকে বঞ্চিত রেখেছেন। এরই জের ধরে গত ২০ মে মামুনের বড় ভাই লিটন মিয়ার শিশু ছেলে ওই পুকুর থেকে গামছা দিয়ে মাছের পোনা ধরে।
এ নিয়ে ওইদিন বিকেলে চাচাত ভাই আনার মিয়া, বেদন মিয়া ও ডালিম মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে রামদা ও লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মামুনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তাদের হামলায় বৃদ্ধা মা হাজেরা বেগম আহত হন এবং তাকে শ্লীলতাহানি করেন। এছাড়াও মামুনের ভাই লিটনের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে। খবর পেয়ে মামুন বাড়িতে গেলে সেখানে অভিযুক্ত চাচাত ভাই আনার মিয়া তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাত জখম করে। পাশপাশি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক মারধর করে।
এছাড়াও তারা মামুনের স্ত্রীকে মারধরসহ তাকে শ্লীলতহানি করে। এ সময় তারা নগদ টাকাসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার স্বর্ণের জিনিস ছিনিয়ে নেয়। শুধু তাই নয় অভিযুক্তরা তাদের ক্ষোভকে ক্ষান্ত করতে বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা বিভিন্ন ফসলের গাছও নষ্ট করে দেয়।
এ বিষয়ে মামুনের বৃদ্ধা মা আহত হাজেরা বেগম জানান, আমরা নিরীহ মানুষ তাদের ভয়ে কিছু বলতে পারি না। তারা আমাদেরকে ব্যাপক মারধর করেছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
অভিযোগকারী মোঃ মামুন মিয়া জানান, অভিযুক্ত চাচাত ভাইয়েরা বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে হামলা চালিয়ে আমাদেরকে মারধর করেছে এবং আমার মাথা ধড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুব দেয়।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডালিম মিয়া জানান, তাদের বিরুদ্ধে মারধর করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। পুকুরটি এজমালি হলেও তিনি তা ৫ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন। সেদিন মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাচ্চাদেরকে শাসানো নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে সামান্য তর্কবিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে মারপিটের মত কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মুসলিম উদ্দিন বাবলু জানান, উভয় পক্ষই পৃথকভাবে দুটি পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি এবং উভয় পক্ষকেই থানায় ডেকেছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।