স্টাফ রিপোর্টার:
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ২০১৩-২০১৪ সালে দেশকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে কারা ছারখার করেছিল? এই একই শক্তি। এই আক্রমণ সরকারের বিরুদ্ধে নয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। কাজেই বোঝা যাচ্ছে এরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। এর বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই। যারা এগুলোর সাথে জড়িত অবশ্যই তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি সোমবার দুপুরে হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতা বিরোধীরা শক্তিরাই বার বার হামলা করে আসছে। তারাতো সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমন করছেনা তারা আক্রমন করছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। ২০১৬সালের হামলার কোন বিচার হয়নি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারও দেরি হয়েছে এখনও বিচার হচ্ছে। তাই এইসব হামলা যারা করেছে তাদেরও বিচার অবশ্যই হবে বলে তিনি জানান। কবে নাগাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের দুর্ভোগ আরও কিছুদিন বাড়বে। কারণ স্টেশনের যেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ঠিকঠাক করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। সিগনালিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব এগুলো ঠিক করে যেন ট্রেন আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে থামাতে পারি। ক্ষতিগ্রস্ত রেল স্টেশন সহ সবকিছু ঠিকঠাক করতে ৫/৬ মাস সময়ের প্রয়োজন হবে বলে জানান।
রেলমন্ত্রীর সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সর্দার শাহাদাত আলি, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে মহা ব্যবস্থাপক সাদিকুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন মাষ্টার মোহাম্মদ শোহেব সহ বিভাগীয় সকল রেলওয়ে কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র গত ২৬ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। এর ফলে গত ২৭ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনে সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।
