স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বাংলাদেশের বুকে এক টুকরো আফগানিস্তান বানানোর সকল আয়োজন হেফাজত সম্পন্ন করেছে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস।
রোববার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই শঙ্কা প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তান্ডবের ঘটনায় হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আয়োজিত জেলা যুবলীগের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, হেফাজতের তান্ডবের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসন সম্পূর্ন নিষ্ক্রিয় ছিলো। তিনি হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচারের জন্য অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ওই দিন (২৮ মার্চ) হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে মাদরাসার ছাত্ররা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরালসহ চারটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে থাকা দু’দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মেয়রের বাসভবন, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ব্যক্তিগত অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, মাতৃ সদন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, তার শ্বশুরের বাড়ি, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু নাছেরের বাসভবন, বিজয়সনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়সহ প্রায় অর্ধশতাধিক সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।
তিনি ধ্বংসাত্মক তান্ডবলীলা ও নৈরাজ্যকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এহসান উল্লাহ মাসুদ, ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব আহমেদ সোহেল, সালাহউদ্দিন সরকার, মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা, শহর যুবলীগের আহবায়ক আমজাদ হোসেন রনি প্রমুখ।