স্টাফ রিপোর্টার:
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেছেন, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতালের দিন হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আমরা এই ঘটনার নয়দিন পর আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে এসেছি সমবেদনা জানানোর জন্য। দুঃখ প্রকাশ করার জন্য। আমরা নিন্দা জানাই। আহত ও নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে আমাদের আসতে দেরি হয়েছে। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ হত্যাকান্ডের জন্য প্রতিবাদ জানাবেন।
তিনি সোমবার দুপুরে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ওইদিন হামলা-ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভবন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
এ সময় মওলানা সাজিদুর রহমান আরো বলেন, যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে, তারা কোনো দিন হেফাজতের নেতা-কর্মী হতে পারে না, তারা কোনোদিন আমার হতে পারে না, আপনাদেরও হতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা আগে যেমন ভাই ভাই ছিলাম আজকের পর থেকেও আমরা ভাই ভাই হিসেবে থাকবো। সাংবাদিক হেফাজত ওলামারা ভাই ভাই হিসেবে থাকবো। ঘটনার পেছনে উস্কানিদাতাদের চিহ্নিত করা দরকার, যারা ভাংচুর করেছে তাদের চিহ্নিত করা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে হরতালের আগের শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছি। হরতালের দিনও শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছি। আমরা হরতালের দিন মাদরাসার ছাত্রদের নিয়ে মাদরাসার সামনের অবস্থান নিয়েছিলাম। তাই কে বা কারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে যেমন প্রেসক্লাব, ভূমি অফিস বা অন্যান্য সরকারী স্থাপনা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে তা আমাদের জানা নেই। তিনি ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি জানান।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ও হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহ বলেন, ২৮ মার্চ সকালে সাজিদুর রহমান হুজুরের নেতৃত্বে আমরা শান্তিপূর্ন মিছিল বের করি। পরে দোয়া শেষে সবাইকে নিয়ে ফিরে গেছি। পরে কখন, কি ঘটনা ঘটেছে আমরা জানতে পেরেছি। ভাংচুরসহ সকল ঘটনার জন্য আমরা নিন্দা জানাই। আমার যতটুকু জানা ও বিশ্বাস, আমাদের কেউ এসব ঘটনার সাথে জড়িত না। ভাংচুরসহ সকল ঘটনার জন্য আমরা নিন্দা জানাই। কে বা কারা করেছে এসব তদন্তে বের হবে।
মতবিনিময় সভায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার কথা তুলে ধরে বলেন, হেফাজতের কর্মসূচী পালনের সময় পেশাগত করণে সাংবাদিকদের মাঠে কাজ করতে হয়। ভিডিও ও স্থিরচিত্র তুলতে হয়। কিন্তু এসব কাজ করতে গিয়ে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের হাতে জেলার সাংবাদিকরা শারিরীকভাবে লাঞ্চিত হয়েছে। তিনি হেফাজতের নেতাদের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা কি তাদের টাগের্টে পরিণত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ও হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহ, মাওলানা আলী আজম, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মুফতি নোমান হাবিবী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুফতি মুহাম্মদ এনামুল হাসান, মাওলানা তানভীর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।