স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। রবিবার সকাল থেকেই হরতাল সমর্থকরা বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে অগ্নি সংযোগ করে। এ সময় শহরের পৈরতলা, পুলিশ লাইন্স এলাকা, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়েক বিশ^রোড এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নতুন করে ২ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলো সরাইলের আলামিন ও অজ্ঞাত একজন। এনিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়।
এছাড়াও বিক্ষুব্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, শিল্পকলা একাডেমী, জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, জেলা আওয়ামীলীগের অফিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, আনন্দময়ী কালিবাড়ি মন্দির, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি, শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বর, উন্নয়ন মেলাসহ বিভিন্ন সরকারি ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও সংবাদ সংগ্রহের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি হামলাকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়।
এদিকে জেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিক্ষুব্ধদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছে এবং পুলিশসহ আহত হয়েছে দেড়শতাধিক। হরতালকে কেন্দ্র করে বন্ধ রয়েছে দোকান পাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও আঞ্চলিক ও মহাসড়কে ছোট-বড় এবং দূর পাল্লার যান চলাচলসহ বন্ধ রয়েছে রেল যোগযোগ। ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের কমপক্ষে ৪০ টি স্পটে টায়ার জ¦ালিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেয়া হয়। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ¦ালিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। নিহতরা হলেন জুরু আলম, বাদল মিয়া, সুজন মিয়া (২২) কাউসার (২৫), জোবায়ের মিয়া (১৪), হোসাইন(২২), সুলতান, কাওসার মিয়া, আলামিন (২০), আশিক (৩৫),। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়।
তবে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান এবং পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমানকে সাংবাদিকরা একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।