স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাত বছর বয়সী বাকপ্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রোববার রাতে ভিকটিমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (জিডি) দায়ের করা হয়েছে।
শিশুটির নানি অভিযোগ করে বলেন, শিশুর মায়ের সাথে কয়েক বছর আগে তার বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে তার মাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়া হয়। মায়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী ওই শিশু এবং তার ছোট ভাইকে তিনি লালন পালন করে আসছেন।
রোববার দুপুরে ওই শিশুটি বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। হঠাৎ করে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরে তিনি বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি ঘরে শিশুটির চিৎকার শুনে তিনি ঘরে ঢোকা মাত্র একই এলাকার রিকসাচালক মনির মিয়া-(৩০) ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তিনি সেখান থেকে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। অভিযুক্ত মনির ওই এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে।
ভিকটিমের নানি আরো বলেন, বিষয়টি তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন ও রাতে পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের কনসালটেন্ট ডাঃ ফৌজিয়া আখতার বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে আমরা পেয়েছি। প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত বলা কঠিন। তিনি বলেন, ধর্ষণ নাকি অন্য কোন আঘাতে শিশুটির রক্তক্ষরণ হয়েছে তা পূর্নাঙ্গ পরীক্ষার পর বলা যাবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ওই শিশুকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সোমবার শিশুর নানা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।