স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার কোয়ার্টার থেকে বোরহান উদ্দিন বাহার-(৩৬) নামে পিয়নের (এমএলএসএস) এর লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গত ১ জানুয়ারি রাতে পুলিশ সার কারখানার আবাসিক কলোনীর (এফ১/এইচ) চারতলা থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
বোরহান উদ্দিন চাঁদপুর জেলার কচুয়া এলাকার মরহুম মুসলিম মিয়ার ছেলে। তিনি সর কারখানার প্রশাসন/এস্টেট শাখার এলএমএসএস ছিলেন।
এই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন-(৪২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ার হোসেন রাজধানীর হাজারীবাগের বাসিন্দা।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে দেলোয়ার হোসেন।
সোমবার বিকেলে জেলা পুলিশের দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেলোয়ার হোসেন পেশায় একজন হকার। সে ঢাকা নিউ মার্কেটের মেয়েদের কামিজ (ওয়ানপিস) এর হকারি করে। বোরহান উদ্দিন বাহারের সাথে গত ১৫ বছর ধরে তার বন্ধুত্ব।
গত ২৮ ডিসেম্বর বোরহানের দাওয়াতে দোলোয়ার হোসেন আশুগঞ্জে বেড়াতে আসে। ঐদিন রাতে বোরহান উদ্দিন ও দেলোয়ার খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। ২৯ডিসেম্বর রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে বোরহান উদ্দিন ব্যাংকের চেকের কাজ করছিল। সারা রাত সে কাজ করে। পরদিন ৩০ ডিসেম্বর ভোরে দেলোয়ার বোরহানকে কাজ বন্ধ করতে বললে বোরহান তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এতে দেলোয়ার উত্তেজিত হয়ে বোরহানকে ধাক্কা দিলে সে খাটের সাথে পড়ে আঘাত পায়। পরে বোরহান খাট থেকে উঠে দেলোয়ারকে আঘাত করতে আসলে দোলোয়ার তাকে জোরে ধাক্কা দেয়।
এতে দোলোয়ার ঘরের দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে তার মাথায় আঘাত পান। পরে দেলোয়ার বোরহানকে ফ্লোরে শুইয়ে দিয়ে বোরহানের মাথার নীচে বালিশ দিয়ে মালিশ করতে থাকে। এতে তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে ভেবে কম্বল ও কাথা দিয়ে মুড়িয়ে বাহির থেকে দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এর ২দিন পর পুলিশ বোরহানের লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় নিহত বোরহান উদ্দিনে ছেলে আব্দুল্লাহ ফারুক বাদি হয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।