স্টাফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বে-সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বোর্ড অব ট্রাস্টি মোঃ আলমগীর মিয়া ও এহতেশামুল বারী তানজিলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, যারা দেশকে পিছিয়ে নিতে চায় তাদেরকে সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে বয়কট করতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের বিজয় হয়েছিলো সংকীর্ণতা,সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে। আমাদের বিজয় হয়েছিলো একটি অগ্রগামী শিক্ষিত জাতি গঠনের জন্যে। যে জাতি চিন্তা-চেতনায় মানবিকতায় সামনের কাতারের হবে। সেই কাজটি করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আধুনিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তোমরা যদি প্রধানমন্ত্রীর সাথে এক হয়ে আধুনিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাও, তাহলে আজ যারা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে চায়, তাদেরকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বয়কট করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, আমরা একটি অসম্প্রদায়িক দেশ চেয়েছি। গণতন্ত্র সু-শাসন চেয়েছি, সকল সাধারন মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছি। যেখানে ধর্ম নিয়ে হানাহানি থাকবেনা। এদেশের মানুষ বাঙালির চিরায়িত সংস্কৃতির আদলে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়বে। এদেশে ধর্ম নিয়ে কোনো হানাহানি হবে না। সকলে মিলে একসাথে বাস করবো। এই সংস্কৃতির উপর আঘাত এসেছিল ৭৫ থেকে। এখন যে আমরা নিজেদের মধ্যে যে বির্তক দেখতে পাই তার সূচনা সেই থেকেই। তিনি বলেন, এক সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিলো সংস্কৃতি রাজধানী, এখন দেখি মৌলবাদের আস্ফালন। তাদেরকে যে কোনো মূল্যে রুখতে হবে।