স্টাফ রিপোর্টার
হয়রানিমূলক মামলার প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগি ঢাকাস্থ শেখ বোরহানুদ্দীন কলেজের অধ্যাপক বদরুল ইসলাম। মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই মামলা দায়েরের আগে আমি কখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেনি। মামলার বাদিনী ও আসামী কাউকেই চিনি না।
সংঘবদ্ধ চক্র ষড়যন্তমূলক ভাকে আমাকে হয়রানিমূলক মামলায় জড়িয়েছে। গত ১৮/১১/২০২০ইং তারিখে আমি জানতে পারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল/মানব পাচার ট্রাব্যুনালে একটি মামলা হয়েছে। পরে আদালতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি নজির আহমেদ এর মেয়ে কুলছুমা আক্তার আমাকে ১নং আসামী করে মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬(২)/৭/১০ ধারায় পিটিশন মামলা নং ০৭/২০২০(মামলার পরিবর্তিত নম্বার-মানব পাচার মামলা নং ১৩/২০ ) মামলা দায়ের করে।
লিখিত বক্ত্যবে তিনি আরো উল্লেখ করেন, মামলার আরজীতে দাবি করা হয় আমি সহ অন্যান্য আসামীরা বাদিনীকে মালদ্বীপে পাঠানোর কথা বলে ভারতে পাচার করে দেয় । পরবর্তীতে বাদিনী ২৪/০৩/২০২০ তারিখে ভারত থেকে ফিরে আসেন এবং পাঁচ মাসপর ২০/০৮/২০২০ ইং তারিখে অত্র মামলা দায়ের করেন। আমি মামলার বাদী ও আসামী কাউকেই চিনিনা। মামলার নথিতে বাদিনীর জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোটের কোন কপিও জমা দেয়া হয়নি।
এছাড়া বাদীর আইনজীবী জানান, একজন জুনিয়র আইনজীবী মামলাটি নিয়ে এসেছেন, এর বাহিরে তিনি কাউকে চিনেন না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভূয়া মামলা দায়েরের সিন্ডেকেটের অন্যতম সদস্য হিসেবে এডঃ মোঃ ফেরদৌস মিয়ার মহুরি সাহেদ মিয়া মামলাটি নিয়ে আসে বলে তিনি লিখিত বক্ত্যবে উল্লেখ করেন।