স্টাফ রিপোর্টার,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মাদরাসার শিক্ষক ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তিনি হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটিরও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। মাদরাসা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়ার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মাদরাসা থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মুফতি মাওলানা মুরাবকুল্লাহ স্বাক্ষরিত মাদরাসার সভার কার্যবিবরনিতে মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানানো হয়।
মাদরাসার কার্যবিবরনিতে গত ১ ডিসেম্বর মাদরাসার সভায় ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয় বলে জানানো হয়।
মাদরাসার সভার কার্যবিবরনিতে থেকে জানা গেছে, মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে নারী সাজিয়ে মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষকদেরকে ব্ল্যাকমেইলিং করাসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ওই শিক্ষক যেন মাদরাসার নাম ব্যবহার করতে না পারেন সেদিকে সকলকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
এ ব্যাপারে হেফাজতের নেতারা বলছেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ মাদরাসার আভ্যন্তরীন ব্যাপার। এর সাথে হেফাজতে ইসলামের কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই। তবে জামিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে হেফাজতকে অবহিত করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে।
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মুবারকুল্লাহ স্বাক্ষরিত কার্যবিররনীতে বলা হয়, মাওলানা আব্দুর রহিম গত ১২ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে মাদারাসা ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে বিক্ষোভ করান। জামিয়ার সিনিয়রদেকে তিনি তোয়াক্কা করেন না। নিজের সহযোগি আব্দুল কুদ্দুসকে নারী সাজিয়ে মাদরাসার মুরুব্বিদের ব্ল্যাকমেইলিং করার চেষ্টা করেন। আব্দুল কুদ্দুছ বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি এনামুল হাসান বলেন, ‘মাদরাসার আভ্যন্তরীন কারণে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর সাথে হেফাজতের কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই। তবে মাদরাসার পক্ষ থেকে জানানো হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাকে বরখাস্তের কাগজ তিনি এখনো পাননি। কাগজপত্র না দেখে তিনি কোন বক্তব্য দিবেন না।