স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি প্রাইভেট ক্লিনিকে ফারজানা আক্তার (২২) নামের এক প্রসূতিকে সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে নবজাতকের পেটে ছুঁরির আঁচর লাগে। এতে তার পেটে সামান্য ক্ষতের সৃষ্টি হয়েেেছ। ঘটনার পর থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দিয়েছে।
আজ রবিবার শহরের কাউতলী এলাকার দি আল ফালাহ মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ফারজানা আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বাউতলা গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী। পরে মা ও নবজাতক শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ফারজানার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে রোববার সকালে তাকে জেলা শহরে নিয়ে আসে। দালালের খপ্পরে পরে দি আল ফালাহ মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। এরপর সেখানে মারুফা রহমান নামের একজন চিকিৎসক সিজার করলে আমার স্ত্রী একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। কিন্তু নবজাতকের পেটের একপাশে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা জানান, নাভি কাটতে গিয়ে কাচির আঘাত লেগেছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, শিশুটির পেটে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে তেমন গুরুতর নয়। অদক্ষতার কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অপারেশন ছাড়াও এখানে বিভিন্ন প্রকার প্যাথলজি টেস্ট করা হয়।
কিন্তু মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ ও হাসপালের পরিবেশ মানসম্পন্ন না হওয়ায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালটিকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।