স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত হাদিস মিয়া-(২৮) হত্যা মামলার পলাতক আসামী জলদার মিয়া-(৬০) মারা গেছেন। সোমবার রাতে উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল গ্রামের নিজ বাড়িতে আহতবস্থায় তিনি মারা যান। জলদার মিয়া ধরমন্ডল গ্রামের সাহাব আলীর ছেলে।
পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ইজিবাইকের সাইড না দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে ধরমন্ডল বাজারে নজরুল ইসলাম ও একলাছ মিয়ার মধ্যে বাকবিতন্ডা ও পরে হাতাহাতি হয়।
পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ধরমন্ডল সড়কে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে নজরুল ইসলামের সমর্থক মোঃ হাদিস মিয়া বুকে টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাদিস মিয়াকে হবিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সংঘর্ষে একলাছ মিয়ার সমর্থক জলদার মিয়াসহ উভয়পক্ষের আরো ২০জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন দাঙ্গাবাজকে আটক করে। জলদার মিয়ার পরিবারের সদস্যদের দাবি দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে জলদার মিয়া আহত হন। তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
পরে হাদিস মিয়ার হত্যা ঘটনায় মরিয়ম চান বাদী হয়ে ২৯ জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যা মামলায় জলদার মিয়া ছিলেন ১২ নং আসামী। মামলা হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন জলদার মিয়া। সোমবার রাত ৭টায় নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন বলেন, সংঘর্ষে ঘটনায় জলদার মিয়া আহত হয়েছিলেন কিনা তা আমার জানা নেই। তবে তিনি মামলার পলাতক আসামী ছিলেন। তিনি বলেন, তার শরীরে কোন আঘাতের চিহৃও নেই। তিনি বলেন, আমরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।