স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ-(৩৫)কে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রলীগের তার অনুসারীরা।
বুধবার দুপুরে দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া মোড়ে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পীর নেতৃত্বে একদল যুবক মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পী বলেন, মাসুম বিল্লাহ ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার বিচার করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। এদিকে মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
এদিকে একই দাবিতে বুধবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা মোড়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে মাসুম বিল্লাহ’র সমর্থকরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসময় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ১ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
এর আগে মাসুম বিল্লাহর মুক্তির দাবি ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের চেষ্টা করে জেলা ছাত্রলীগের মাসুম বিল্লাহর অনুসারীরা। কিন্তু পুলিশী বাঁধার কারনে তারা মানববন্ধন করতে ব্যর্থ। এদিকে মাসুম বিল্লাহকে গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের কারনে শহরের হাসপাতাল রোডসহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন ও সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আহমেদ বলেন, যারা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘেœর সৃষ্টি করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে। ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, মাসুম বিল্লাহ ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে আটক করে মাদক দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
উল্লেখ্যঃ- গত মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করে সরাইল থানা পুলিশ। এ সময় মাসুম বিল্লাহর সহযোগী মোঃ এনামুল হক ও গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অভিযোগ গ্রেপ্তারকালে পুলিশকে মারধোর করে মাসুম ও এনামুল।
পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় পুলিশের এ.এস.আই মোঃ আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মাসুম বিল্লাহ ও মোঃ এনামুল হক বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে আরো একটিসহ মোট দুটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও এর আগে পুলিশের উপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বিজয়নগরে থানায় পৃথক ৩টি মামলা রয়েছে।