Advertisement

রূপপুরের করোনা রিপোর্ট নিয়ে ব্যাখা দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৯০১।

স্টাফ রিপোর্টার:

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরতদের করোনা পরীক্ষা নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা ব্যাখ্যা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব ইনচার্জ ও হাসপাতালের মাইক্রোবায়েলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ জাকিউর রহমান।

লখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোন ধরনের তদন্ত না করেই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ আবু সাঈদকে জড়ানো হয়েছে। এতে কলেজের সম্মান ও সুনাম নষ্ট হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট নিয়ে প্রতারণায় অভিযুক্ত পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মেডিকেয়ার ক্লিনিককে “বিশ্বাস করে” নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ প্রকল্পে কর্মরতদের নমুনা পাওয়া ৫০টির ফলাফল দেয়া হয় ওই মেডিকেল কলেজ থেকে। নমুনা সংগ্রহ, ফলাফল বিবরণীর সকল তথ্যই মেডিকেল কলেজে সংরক্ষিত রয়েছে।

কিন্তু সরকারি অনুমোদন ছাড়া অবৈধ উপায়ে নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মেডিকেয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয় ঈশ্বদীর থানায়। ইতিমধ্যে পুলিশ মেডিকেয়ার ক্লিনিকের মালিক আবদুল ওহাব রানাকে গ্রেপ্তার করে। এই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদকে আসামী করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাদেরকে সরবরাহ করা হবে মর্মে আমরা বিশ্বাস করে মেডিকেয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। গত ৬ জুলাই সংগৃহিত ৫০টি নমুনা দেওয়ার পরদিন আমাদেরকে কাগজপত্র সরবরাহ করার কথা ছিলো। কিন্তু কাগজপত্র দিতে না পারায় আমরা তাদের কাছ থেকে আর কোনো নমুনা গ্রহণ করিনি।

তিনি আরও বলেন, ৭ জুলাই ওই ৫০টি নমুনা পরীক্ষার রিপের্টের মধ্যে ৩৯টি নেগেটিভ এবং ১১টি পজিটিভ এসেছে। আমাদের ল্যাবে পরীক্ষিত রিপোর্টগুলোতে কোনো ভুল নেই। অ্যানালাইসিসহ এসব পরীক্ষার রিপোর্ট গ্রাফ পিসিআর মেশিনের মেমোরিতে সংরক্ষিত আছে। মামলায় আমাদের ল্যাবে পরীক্ষিত রিপোর্ট নিয়েও কোনো অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) শফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক আশাদুল্লাহ মিয়া, পিসিআর ল্যাব ইনচার্জ এস. এম. জুনায়েদ ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, ‘কোনো ধরণের তদন্ত না করেই আমার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আমার পিসিআর ল্যাব থেকে সেখানকার ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১ জনের পজেটিভ ও ৩৯ জনের নেগেটিভ আসে। এর বাইরে আর কোনো ফলাফল আমাদের ল্যাব থেকে দেয়া হয় নি। আর কোনো ফলাফলেই আমার স্বাক্ষর নেই।

তিনি বলেন, ‘৬ জুলাই ৫০টি নমুনার ফলাফল দেয়া হয়। পরে যখন জানলাম ওই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয় নি তখন তাদের কাছ থেকে নমুনা নেয়া বন্ধ করে দেই।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com