স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পৌর এলাকার তিনটি ওয়ার্ডের ৪টি মহল্লাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন করা হলেও তা মানছেন না লকডাউনকৃত এলাকার বাসিন্দারা। গত ১৪ জুন থেকে এই চার মহল্লায় লকডাউন চলছে, থাকবে ২৭জুন পর্যন্ত।
লকডাউন ঘোষনা করার পর লকডাউনকৃত এলাকার প্রতিটি মহল্লার প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে বেরিক্যাড দেয়া হয়েছে। কিন্তু লকডাউনকৃত এলাকার লোকজন লকডাউন মানছেন না। লকডাউনকৃত এলাকার ভেতরে যানবাহন চলাচল না করলেও জনসাধারনের চলাচল বন্ধ হচ্ছেনা। অহেতুক লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হলেও প্রশাসনের লোকজন চলে যাওয়ার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় লকডাউনকৃত এলাকা।
সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় গত ১৪ জুন থেকে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পূর্বপাইকপাড়া ও কালাইশ্রীপাড়া, ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া এবং ৮নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়াকে রেডজোন হিসেবে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেডজোন ঘোষনা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারনকে অনুরোধ করা হয়। পরে প্রতিটি মহল্লার প্রবেশমুখে বাঁশের বেরিক্যাড দিয়ে একজন আনসার মোতায়েন করা হয়।
পৌর এলাকার মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মোঃ গালিব ও পূর্ব পাইকপাড়ার ঈশিতা রানী জানান, এটি ঢিলেডালা লকডাউন, নামেই লকডাউন। জনগন লকডাউন মানছেন না। লকডাউনকৃত এলাকায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে দায়িত্বরত আনসার সদস্য মুহাম্মদ মুছা জানান, তার পক্ষ থেকে লকডাউন মেনে চলার জন্যে প্রতিটি মানুষকে আহবান জানানো হচ্ছে। তবে বেশিরভাগই মানুষই তার কথা শুনেন না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লকডাউনকৃত এলাকায় দায়িত্বপালকারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট প্রশান্ত বৈদ্য জানান, আমরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছি। যারা লকডাউনকৃত এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে।
এছাড়া দায়িত্বরত আনসার সদস্যদেরকে কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ এর ব্যতয় ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি জানান, সোমবার থেকে আমরা আরো কঠোর হব।