স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডের চারটি এলাকাকে “রেড জোন” উল্লেখ করে ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার রাতে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া ও কালাইশ্রীপাড়া, ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া এবং ৮নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়াকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। গতকাল রোববার সকাল থেকেই লকডাউনকৃত এলাকায় বেরিক্যাড দিয়ে জনসাধারনের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লকডাউনকৃত এলাকার কেউ বের হতে পারছেন না আবার অন্য এলাকার কেউ লকডাউনকৃত এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না।
তবে জরুরী পরিসেবা চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ, সরবরাহ ও গণমাধ্যম কর্মীরা এর আওতার বাইরে থাকবেন বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
লকডাউন করার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার পাশপাশি সাধারন মানুষকে মাস্ক পড়ার করার জন্যে সর্তক করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং তা সমস্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডের ৪টি এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার রাত ১২টা থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে, আগামী ২৭ জুন পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ থাকবে। এ ব্যাপারে শহরে মাইকিং করা হয়েছে। যারা লকডাউন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তিনি জানান, লকডাউনকৃত এলাকার কোন বাসিন্দা বাইরে যেতে পারবেন না আবার অন্যান্য এলাকা থেকেও কেউ লকডাউনকৃত এলাকায় ঢুকতে পারবেন না। লকডাউনকৃত এলাকায় জরুরী সেবার পরিবহন ছাড়া সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। লকডাউনকৃত এলাকার ফার্মেসী, মুদিমাল ও কাঁচাবাজার নিয়ম মেনে খোলা থাকবে।
উল্লেখ্য সদর উপজেলায় শনিবার পর্যন্ত ১১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যা জেলায় আক্রান্তের সংখ্যায় সর্বোচ্চ। উপজেলায় আক্রান্ত হওয়া ১১৪ জনের মধ্যে ওই চার এলাকায় আক্রান্ত বেশি হওয়ায় এই চারটি এলাকাকে লকডাউন করা হয়েছে।