বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত সোমবার সকালে পৌর এলাকার মধ্যপাড়া থেকে রূপা আক্তার প্রকাশ লুবনা-(১৮) নামক এক তরুনীর লাশ উদ্ধারের পর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মধ্যপাড়ার বসাকপাড়া মহল্লার দুই যুবক রানা কর-(৩০) ও নুপুর বসাক-(৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা আক্তার পৌর এলাকার কাজীপাড়ার মুসলিম মিয়ার মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের কাছে ধর্ষণ শেষে রূপাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় নিহতের বোন বকুল আক্তার বাদি হয়ে দুইজনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত রানা আদালতে রূপাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত নুপুর বসাকের সাথে রূপা আক্তারের পূর্ব পরিচয় ছিলো। পরে নুপুর বসাকের মাধ্যমেই একই এলাকার রানা করের সাথে তার পরিচয় হয়।
গত রোববার রাত ১২টার দিকে নুপুর বসাক ফোন করে রূপাকে রানার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। রাত দেড়টার সময় নুপুর বসাক প্রথমে এবং পরে রানা কর রূপাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তারা রূপাকে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে পার্শ্ববর্তী অরবিন্দ করের বাড়িতে ফেলে দেয়। পরে তারা কোন প্রমান যাতে না থাকে সেজন্য রূপার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙে বাড়ির পাশের ড্রেনে ফেলে দেয়।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে রূপার পরিবারের লোকজন অরবিন্দ করের বাড়িতে গিয়ে তার লাশ সনাক্ত করে। সকাল ১০টায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমে রানা করকে এবং পরে নুপুর বসাককে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রূপা আক্তার হত্যা ঘটনায় সোমবার রাতে তার বোন বকুল আক্তার বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত নুপুর বসাক ও রানা করকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের কাছে ধর্ষণ শেষে রূপাকে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত রানা কর মঙ্গলবার আদালতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেছেন। নুপুর বসাককে বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।