স্টাফ রিপোর্টার:
হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, যারা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে শেষ নবী হিসেবে না মানবে তারা নিঃসন্দেহে কাফের। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ঈদগাহ ময়দানে আর্ন্তজাতিক মজলিশে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা আয়োজিত কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে মুসলিম ঘোষনার দাবিতে অনুষ্ঠিত খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন, কাদিয়ানীরা কখনো মুসলমান হতে পারে না, তারা শয়তান, তারা কাফের।
তিনি বলেন, কেউ যদি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে শেষ নবী না মানেন ওই ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবেন। তওবা না করলে তিনি আর মুসলমান হতে পারবেন না। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বাংলাদেশে সরকারিভাবে কাদিয়ানিদেরকে কাফের ঘোষনা করার দাবি করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকেই কাদিয়ানিদের কাফের ঘোষনার আন্দোলন শুরু হয়েছে।
মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আল্লামা মুনিরুজ্জামান সিরাজী, সাবেক মন্ত্রী মুফতী মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদি, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালাবাদী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আযহারী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতী মুবারকুল্লাহ, আল্লামা সাজিদুর রহমান ও মুফতী আব্দুর রহিম কাসেমী।
মহাসম্মেলনে বিভিন্ন আলেমের কাছে তওবা করে ১৭জন কাদিয়ানী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এদিকে মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা সম্মেলনস্থলে আসতে থাকে।
বেলা ১১টার মধ্যে কানায়, কানায় ভরে যায় জেলা ঈদগাহ ময়দান। পরে মানুষ আশপাশের রাস্তায়ও বসে পড়েন বাবুনগরীর বক্তব্য শোনার জন্য।