Advertisement

প্রথম বারের মত চালু হতে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ১০৩১।

এনবি ডেস্ক:

হৃদরোগ চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। এখন থেকে খোদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই চলবে হৃদরোগের চিকিৎসা। প্রাথমিকভাবে আর কোন রোগীকেই রাজধানী ঢাকা অথবা বিদেশে যেতে হবে না। হৃদরোগীদের সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে চলবে চিকিৎসা। শুধু ব্রাক্ষণবাড়িয়াতেই নয়, নিকটবর্তী জেলার রোগীরা ও পাবে এ উন্নত চিকিৎসা। আশার আলো জাগিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন।

২০১৭ এপ্রিল থেকে বর্তমান হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয় এবং তিন বছরে ৪র্থ তলা পর্যন্ত হাসপাতালের অবকাঠামো সম্পন্ন হয়েছে। নতুন বছরের শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জন্য খুশির বার্তা দিয়েছে হার্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ন্যাশনাল হার্টফাউন্ডেশনের সদস্যদের অর্থায়নে আধুনিক চিকিৎসা সেবার এ ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। সে সাথে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আল মামুন সরকারও এতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। নিজস্ব জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বপ্নের এই চিকিৎসার স্থাপনা। ২৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যায়ে শহরের পশ্চিম মেড্ডায় পুলিশ লাইন সংলগ্ন স্থানে ৪ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে এটি ৮ তলায় উন্নীত হবে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবে পহেলা ফেব্রুয়ারী থেকে। পরবর্তীতে ২শ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হবে। সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে হাসপাতালের প্রাথমিক সকল হৃদরোগের যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে এসেছে। স্ব-স্ব স্থানে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক চিকিৎসার সকল যন্ত্রপাতি।

সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাথ ল্যাব, সিসিইউ, আইসিসিউ ও অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন।

গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে সর্বাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। ২ টি ক্যাথলেট, ৮ টি ইমার্জেন্সি বেড, ১০ টি আই, সি, সি, ইউ বেড, ১০টি সি, সি, ইউ বেড, ৫টি পি, সি, ইউ বেড। ১৭ টি সাধারণ বেড। প্রথম দিকে ২টি শীফটে চলবে কাজ। এ জন্য একজন সার্বক্ষনিক হৃদরোগ কনসালটেন্ট, ২ জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন সিনিয়র মেডিকেল অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

রোগী দেখার সময় সকাল ৮ থেকে দুপুর ২.৩০ এবং বিকেলে ৩.৩০ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। ইতিমধ্যে জনবল নিয়োগের কাজ ও সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে ২শ কেভি জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে। ইসিজি, ইকো এবং ইসিসি, ভেন্টিলেটর মেশিন ২টি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ২টি, ই, টি, টি ১টি, সিয়াম এনজিওগ্রাম ১টি, ৩শ এম,এ এক্সরে মেশিন ১টি, ৫শ এক্সরে এম,এ মেশিন ১টি স্থাপন করা হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে হাসপাতালটি ২শ শয্যায় উন্নীত হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সভাপতি ডাক্তার মোহাম্মদ বজলুর রহমান জানান, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com