স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী। এ সময় বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় স্কুল ছাত্রীর বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার এক যুবকের সাথে ঘাটুরা গ্রামের বাসিন্দা ও সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ে শুক্রবার হওয়ার কথা ছিলো।
দুপুরের পরই বিয়ে বাড়িতে শুরু হয় অতিথিদের আপ্যায়ন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়াকে অবহিত করলে তিনি পুলিশ নিয়ে বিকেলে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।
পরে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়েকে বিয়ে দেয়ার আয়োজন করায় ওই স্কুল ছাত্রীর পিতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে ওই ছাত্রীর মা-বাবার কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, অপ্রাপ্ত বয়সে বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় স্কুল ছাত্রীর বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা আদায় করা হয়।