স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় সরকারি ভাবে ধান কেনার জন্য অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করা ১ হাজার ৪৮৫জন কৃষকের মধ্যে থেকে লটারীর মাধ্যমে ৮০৭জন কৃষককে নির্বাচিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে লটারীর মাধ্যমে ১ হাজার ৪৮৫ জন কৃষকের মধ্য থেকে তিন ক্যাটাগরীতে (ক্ষুদ্র, মাঝারী এবং বৃহৎ) ৮০৭ জন কৃষককে নির্বাচিত করা হয়েছে।
লটারী কার্যক্রমের সময় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। এ সময় জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুবীর নাথ চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু নাসের, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, খাদ্য ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগন এবং বিভিন্ন গনমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
লটারী কার্যক্রম শেষে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, গত ২৫ নভেম্বর থেকে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকরা সরকারি ভাবে ধান বিক্রি করার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৫ জন কৃষক আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বৃহৎ এই তিন ক্যাটাগরিতে ৮০৭ জন কৃষককে নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচিত ক্ষুদ্র ক্যাটাগরির প্রতিজন কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার কেজি, মাঝারি ক্যাটাগরির প্রতিজন থেকে ১হাজার ৫শ কেজি এবং বৃহৎ ক্যাটাগরির প্রতিজন কৃষকের কাছ থেকে ২ হাজার ৪শ কেজি ধান ক্রয় করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, সারা বাংলাদেশের ১৬টি উপজেলার এই প্রথম বারের মতো এই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করবে সরকার। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা একটি। অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার কারনে প্রকৃত কৃষকেরা লাভবান হবে। ডিজিটাল পদ্ধতির কারণে দালাল, ফরিয়ারা ধান ক্রয় করে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবেনা।
উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১ হাজার ৪০ টাকা মন দরে ৯৯৯ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে সরকার।