স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এতে করে কষ্ট করছে গরীব ও অসহায় মানুষেরা। গত মঙ্গলবার থেকেই জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই নামতে থাকে হাঁড় কাপানো শীত। বৃহস্পতিবার সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা ১১ পর্যন্ত ছিলো ঘন কুয়াশা। তীব্র শীতের কারনে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ছন্দপতন শুরু হয়।
ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই শীতার্থদের মধ্যে চার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তীব্র এই শীতে শহরের মানুষ কম কষ্ট করলেও গ্রামের মানুষ খুবই কষ্ট করছে। গ্রামের কৃষকের তাদের জমির ধান সিদ্ধ করে শুকাতে পারছেনা।
সরাইল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা গেছে গ্রামের ছিন্নমূল মানুষেরা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। শীতের তীব্রতা বাড়ার কারনে রাত ৮টার পরই ফাঁকা হতে থাকে শহরের রাস্তাঘাট। লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে বাড়িতে চলে যাচ্ছে।
সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের হাবিবুর রহমান জানান, গত দুইদিন রোদ না উঠায় তিনি ঘরে থাকা সেদ্ধ ধান শুকাতে পারছেন না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের বাসিন্দা মোঃ সুজন ইসলাম জানান, সকাল থেকে হাড় কাঁপানো শীত থাকার কারনে মানুষ দৈনন্দিন কাজের সমস্যা হচ্ছে। শহরের গ্রামের লোকজন আনাগোনা কম দেখা গেছে। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বেচা-কেনা বেড়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, শীত উপলক্ষে ইতিমধ্যেই সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গরীব শীতার্থদের মাঝে চার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো কম্বল বিতরণ করা হবে।
সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে উপজেলায় ৫ হাজার ১০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।