স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের (আসন নং-৩১২) সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদের বিরুদ্ধে তার শ্বশুর বাড়ির ( ইকবাল আজাদের বাবার) সহায়-সম্পত্তি দখল ও আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন প্রয়াত ইকবাল আজাদের ছোট বোন ও শিউলী আজাদ এমপির অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ননদ রুবি ইয়াছমিন।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুবি ইয়াছমিন এই অভিযোগ করেন। তবে শিউলী আজাদ এমপি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রুবি ইয়াছমিন অস্ট্রেলিয়া থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে তার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আবদুল খালেক মিয়ার কন্যা ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত এ.কে.এম ইকবাল আজাদের ছোট বোন রুবি ইয়াছমিন তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, শিউলী আজাদ এমপি হওয়ার পর থেকে আমাদের পৈত্রিক সহায়-সম্পদ দখলে বেপরোয়া হয়ে উঠেন।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সন্ধানী ক্লিনিকের ২১টি শেয়ারের মধ্যে শিউলী আজাদের নামে তিনটি ও প্রয়াত ইকবাল আজাদের ছোট ভাই প্রয়াত জাহাঙ্গীর আজাদের নামে তিনটি শেয়ার আছে। শিউলি আজাদ প্রতি মাসে ক্লিনিকে এসে তার নামের শেয়ারের টাকাসহ প্রয়াত জাহাঙ্গীর আজাদের নামে থাকা তিনটি শেয়ারের টাকাও জোর করে নিয়ে যান। এছাড়া ওই ক্লিনিক ও ক্লিনিক ভবনের দোকানের ভাড়াও জোর করে নিয়ে যান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রুবি ইয়াছমিন আরো বলেন, জাহাঙ্গীর আজাদের মৃত্যুর পরদিন শিউলি আজাদ সন্ধানী ক্লিনিকে এসে পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশদের সকল দলিলপত্র ও ব্যবসায়িক কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নগদ টাকা নিয়ে যান। তিনি বলেন, প্রয়াত জাহাঙ্গীর আজাদের শেয়ারের টাকা ও ক্লিনিক ভবনের দোকান ভাড়ার টাকা তার ও তার বাবার প্রকৃত ওয়ারিশরা প্রাপ্য। কিন্তু শিউলি আজাদ তাদেরকে এই প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রুবি ইয়াছিন আরো বলেন, শিউলী আজাদ এমপি সরাইল বাজারে থাকা তাদের পৈত্রিক বিল্ডিংয়ের টাকা ও সরাইলে থাকা প্রয়াত জাহাঙ্গীর আজাদের বাড়ি দখল করে নিয়েছেন। এছাড়াও শিউলী আজাদ বিভিন্ন ভাবে তার পরিবারের সদস্যদের উপর মানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ( তারিখঃ-২১-১০-২০১৯) এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন।