এনবি ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়ে বিদ্যানিধি পুকুর ভরাট করে চেম্বার অব কমার্সের বহুতল ভবন নির্মাণের ঘটনায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ জেলার ছয় কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত এই আদেশ দেন। আদেশে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া অন্যান্যরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌরসভার মেয়র, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
কারণ দর্শানোর ওই আদেশে উল্লেখ করা হয় বিদ্যনিধি পুকুরের জায়গা দখল করে চেম্বারের সভাপতি ও পরিচালকের বিরুদ্ধে অবৈধ দখল, মাটি ভরাট, স্থাপনা ও ভবন নির্মাণ বন্ধে এবং পুকুরকে খনন করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা না নেওয়ায় কেন কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ৮ জনরে বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এর কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ জুন বিদ্যানিধি পুকুর ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন চেম্বারের সভাপতি আজিজুল হক ও পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে বাধা দেন। সে সময় স্থানীয়দের বাধায় পুকুর ভরাট বন্ধ হলেও চেম্বার গোপন কাজ চালিয়ে যান।
২১ জুলাই স্থানীয় পরিবেশ রক্ষা কমিটির পক্ষে এহসানুল হক মাসুদ ১-৮নং বিবাদীর কাছে পুকুর ভরাট ও বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধের জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে পরিবেশ রক্ষা কমিটির পক্ষে আইনজীবী মোঃ নাসির মিয়া বিবাদীগণকে পুকুর ভরাট ও বাতিল ভবন নির্মাণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশ পাঠান। তারপরও চেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে পরিবেশ রক্ষা কমিটি।
রিট আবেদনেরই প্রেক্ষিতে উচ্চ আদলাত ভূমি সচিবসহ ৮ জনকে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে জেলার সুশীল সমাজ ও স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।