এনবি নিউজঃ
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খাঁন বলেছেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদেরকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম আয়োজিত চারদিনব্যাপী আরএকে সিরামিকস্ ২৮তম বার্ষিক শিশু চিত্রকলা প্রদশর্নী ও সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর ভূইয়ার সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খাঁন আরো বলেন, শিশুদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে, তাদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শিশুদেরকে তৈরী করতে হবে। গান, নাচ, কবিতা, চিত্রাংকনের মাধ্যমে শিশুরা তাদের মনোজগতকে নাড়া দিয়ে থাকে। শিশুদেরকে লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্য কারিকুলামে জড়িত করতে হবে। তিনি বলেন, আজকে যারা সংবর্ধিত হয়েছেন তারা সমাজের খুবই গুনী মানুষ। তাদের অবদান অবস্মরনীয়। গুনীদের সম্মান জানালে নিজেরাই সম্মানীত হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী শুভ্রজিত ভট্টাচার্য, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এস.আর. ওসমান গনি সজীব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন ও আবৃত্তি শিল্পী বাছির দুলাল।
আলোচনা সভা শেষে জেলার ৫ গুনী বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কালাম ভূঞা, শিক্ষাবিদ শফিকুল বারী, সাদা মনের মানুষ সুধীর চন্দ্র বর্ধন, নৃত্য প্রশিক্ষক সেবিকা পাল ও ফিফা ওয়ার্ডকাপ-২০১৮ এর ডিসিসি, ডোপিং কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট ডাঃ মুহাম্মদ আবদুল মতিন (সেলিম) কে সংবর্ধনা এবং অনুষ্ঠানে বৃন্দ আবৃত্তি, দেশাত্ববোধক গান, নৃত্য, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহনকারী শতাধিক শিশুর মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন অতিথিবৃন্দ। চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে শিশু নাট্যমের শিশুদের আঁকা হাজার হাজার ছবি প্রদর্শন করা হয়।