ডিআইজি গোলাম ফারুক বলেন, অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইনগত সব ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলার পর আলেম সমাজ চলে যায়। তৃতীয় আরেকটি পক্ষ হঠাৎ করে উসকানি দিয়ে মাদরাসায় আক্রমণ করে ভাঙচুর করেছে। যে ঘরে কোরআন শরীফ রাখা সেই ঘর ভাঙচুর করেছে। যেখানে পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা-ইউএনও বসা সেই রুম ভাঙচুর করে তাদেরকে খুন করতে উদ্যত হলে চরম মুহূর্তে বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি করেছে।
ডিআইজি গোলাম ফারুক বলেন, তৃতীয় পক্ষ প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অনেক সময় সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। আমি রংপুরের ডিআইজি থাকার সময়ও একই ঘটনা ঘটেছিল। ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিল তাকে আমরা ধরে আনলাম। তার আইডি হ্যাক করা হয়েছিল। আমরা বুঝানোর পর শুনেছে কিন্তু আরেকটি পক্ষ হিন্দুদের ঘর-বাড়িতে আক্রমণ করেছে।
এ সময় সাবইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করবে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশকে আমরা জঙ্গিবাদ মুক্ত করতে পেরেছি, এখন আমাদের যুদ্ধ চলছে মাদক আর গুজবের বিরুদ্ধে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনসিুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন। আলোচনা শেষে ডিআইজি খন্দকর গোলাম ফারুক অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে ই-ট্রাফিকিং সেবার উদ্বোধন করেন।