স্টাফ রিপোটার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ্যালকোহল ডিকেক্টর চালু করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
রবিবার সকাল থেকে খাটিহাতা (বিশ্বরোড) হাইওয়ে থানা পুলিশ এই দুটি মহাসড়কে দিনভর এ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা মাদক সেবন করে গাড়ি চালাচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষা করেন। এ সময় ৩০/ ৪০ জন গাড়ি চালককে এ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হলেও কোন চালককে মাদক সেবনরত অবস্থায় পাওয়া যায়নি।
রবিবার সকালে সরজমিনে দেখা যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় মহাসড়ক দুটিতে বিশেষ ধরনের যন্ত্র দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন দূর পাল্লার যানবাহনের চালকদের মাদকাসক্ত কিনা পরীক্ষা করছেন। প্রথমবারের মতো এই কার্যক্রম দেখে অনেক যানবাহনের চালকই আশ্চর্য হন। তবে বিষয়টিকে তারা সময়োপযোগী এবং ইতিবাচকভাবেই দেখছেন।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত গ্রীন লাইন বাস সার্ভিসের চালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, মহাসড়কে দূর্ঘটনারোধে হাইওয়ে পুলিশের এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হলে মহাসড়কে দুর্ঘটনা অনেকটা হ্রাস পাবে।
একই মহাসড়কে চলাচলরত ট্রাক চালক মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, সরকারের এই কার্যক্রমকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
দিগন্ত বাস সার্ভিসের যাত্রী মোঃ ইমরুল, সাজেদুল আলম ও ফরিদ মিয়া জানান, সরকারের এই উদ্যোগের ফলে মহাসড়কে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে, রক্ষা পাবে যাত্রীদের যান মাল। তারা এ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার সময় কোন যানবাহনের চালক যাতে হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহবান জানান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক কল্যাণ সংসদের সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারী বলেন, এটি সরকারের একটি শুভ উদ্যোগ। আমরা মহাসড়কগুলোতে যাতে প্রতিদিনই এ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের পরীক্ষা করা হয় সেই দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে খাটিহাতা (বিশ্বরোড) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাইনুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।