স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মান কাজের জন্য গভীর খনন কাজের ফলে নির্মানাধীন ভবনের পাশে থাকা একটি মসজিদের ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে মসজিদে আগত মুসল্লিসহ স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমারশীল মোড় এলাকায় অবস্থিত মদিনা মসজিদ সংলগ্ন ১ নং খতিয়ান ভুক্ত ১৮১৯ দাগে ১৫ শতক ডোবা শ্রেণীর ভূমি ২০১৪ সালের ১৯ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্প ও বণিক সমিতির নামে অস্থায়ী বন্দোবস্ত দেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন।
পরে পুকুর ভরাট করে ২০১৮ সালের ১৫ মে চেম্বারের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণে চেম্বার কর্তৃপক্ষের সাথে চেম্বারের সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীরের চুক্তিও হয়। বন্দোবস্তে অহস্তান্তরযোগ্য ও সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে চেম্বার কর্তৃপক্ষকে এ ভূমি দেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও ডেভেলপারের সাথে ৬০/৪০ শতাংশে চুক্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চেম্বার কর্তৃপক্ষ বন্দোবস্তের শর্ত লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ দিকে, অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণের জন্য গভীর খনন কাজ করায় সেখানে থাকা মদিনা জামে মসজিদে একাংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে মসজিদের মুসুল্লি ও আশপাশের ভবন মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মসজিদে ফাটল দেখা দেয়ার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মদিনা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন সাংবাদিকদের জানান, নানাভাবে আইনি পদক্ষেপ নিয়েও আমরা চেম্বার কর্তৃপক্ষের বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে পারছি না। আমরা এর প্রতিকার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আজিজুল হক বলেন, সকল আইন ও শর্ত মেনেই আমরা নির্মাণ কাজ করছি। তবে বন্দোবস্তের ভূমিতে স্থায়ী ভবন নির্মাণের কোন অনুমতিপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, মসজিদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এমন তথ্যও তার জানা নেই।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মসজিদে ফাটলের বিষয়টি জানতে পেরে চেম্বার কর্তৃপক্ষকে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।