এনবি ডেস্ক প্রতিনিধিঃ
ঢাকা থেকে সাংবাদিক সেজে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতারণা করতে এসে র্যাবের হাতে ধরা খেল প্রতারক চক্রের ৮জন সদস্য। শনিবার দুপুরের তাদের আটকের পর যাচাই-বাছাই শেষে রাতে সদর থানায় তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, শরিয়তপুর জেলার সদর থানার চেতলীয়ার টুমচর গ্রামের ইদ্রিস সরদারের ছেলে কাউসার ইসলাম সানি(২৬), ঢাকার দারুসসালামের মোহাম্মদ কালামের ছেলে মেহেদী হাসান(২৫), খুলনা জেলার সদর থানার শেখপাড়ার সেলিম খানের ছেলে তানজির খান রনি(৩৫), পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার সদরের আবু জাফরের ছেলে আহসান উদ্দিন(৩৪), একই জেলার বাউফল থানার কেশবপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মোঃ আহসান (৩১), কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার আল আমিনের মেয়ে আয়েশা আক্তার (২১), ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের তালতলা মোল্লাপাড়ার সাত্তার শিকদারের ছেলে রুবেল শিকদার (২৫) ও ঢাকার খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার সরকার মোঃ হোসেনের ছেলে সরকার শিপলু(৩৬)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি ঘটনায় একজন আহত হয়ে রাজধানীর ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে একব্যক্তি ভর্তি রয়েছে। সেই ব্যক্তির বোনকে প্রতারকরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ফুসলিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন করতে বলেন। সেই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে সংবাদ সংগ্রহ করতে ৫০হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয় ও অগ্রিম ২০হাজার টাকা নিয়ে নেয়। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে ওই নারী তার ভাইয়ের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে ওই প্রতারকরা গাড়ি নিয়ে সেখানে হাজির হয়। তাদের দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে একজনকে আটক করা হয়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে অন্য প্রতারকরা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটিনাটি র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পে জানালে কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের ও সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে অভিযান চালায়। অভিযানে সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার এলাকা থেকে আরো ৭জন প্রতারককে আটক করে। এসম তাদের কাছ থেকে এটিএন বাংলা টিভির, বিজয়টিভি ও এবি চ্যানেল নামের ভুয়া বুম(লোগো) উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে বাংলাটিভি ভুয়া আইডি কার্ড, সময়ের অপরাধচক্র নামের একটি পত্রিকার ভুয়া আইডি, ক্যামেরা ও জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পে কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, প্রতারক চক্রটি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা করে আসছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মিডিয়ার ভুয়া পরিচয়পত্র, ভিডিও ক্যামেরা, ডিএসএলআর ক্যামেরা, ক্যামেরার স্ট্যান্ড ও লোগো পাওয়া গেছে। আটকের পর যাচাই-বাছাই শেষে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।