স্টাফ রিপোর্টার,
একজন হিজড়ার কোলে দেয়া হলো শিশুকে (প্রতীকী)। আশেপাশে ঘিরে ধরলো আরো কয়েক হিজড়া। টাকার দাবিতে তারা শিশুকে নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু করলো। কিন্তু ‘হিজড়া মা’ শিশুটিকে কোনোভাবেই ছাড়তে রাজি নন। এক পর্যায়ে ‘হিজড়া মাকে’ ধাক্কা দিয়ে ফেলে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুরো বিষয়টি দেখে উপস্থিত অন্যান্য হিজড়ারাও একমত হলেন যে, কারো সাথে এমন আচরণ ঠিক নয়। একই সাথে সবার সামনে কাপড় খোলে ফেলার মতো কাজগুলোও যে ঠিক নয় সে বিষয়টিও তারা বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করলেন।
হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণে হিজড়ারা এমন উপলব্ধি করে বললেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য আমরা আরো সতর্ক হয়ে যাবো। সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমরা ভিন্ন পেশায় যাওয়ার চেষ্টা করবো। কারো সাথে অসদাচরণ করবো না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে চলছে ৫০দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা। ৫০ জন হিজড়া এই কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন। বুধবার কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন সরকারি শিশু পরিবারের তত্বাবধায়ক রওশন আরা। প্রশিক্ষণে হিজড়াদের বিভিন্ন বিষয় তিনি নিজেও অভিনয় করে দেখান।
গত ২৫ জুলাই উদ্বোধন হওয়া প্রশিক্ষণে সেলাই, বিউটিফিকশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে হিজড়াদেরকে শেখানো হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে ভাতাসহ সরকারি অনুদানও পাবেন পাবেন হিজড়ারা। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে।
রওশন আরা খাতুন জানান, নিজেদের অত্যাচার নিজেরা সহ্য করার মতো বিষয় উপলব্ধি করেছেন হিজড়ারা। তারা সবাই একমত হয়েছেন যে, টাকা আদায়ে কারো সাথে এ ধরণের আচরণ কোনো ভাবেই ঠিক নয়। অনেকেই বলেছেন এ পথ পরিহার করে তারা কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছেন।