এনবি ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জোড়া হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শহরের একটি রেস্তোরাঁয় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন নিহত জয়নাল মিয়ার ছেলে শরীফ উদ্দিন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গৌরনগর গ্রামে জয়নাল মিয়া ও দুলাল মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এটি ছিল একটি জঘন্যতম হত্যাকান্ড। কোন প্রকার উস্কানি ছাড়া পূর্ব শত্রুতার জেরে নিছক এলাকার অবৈধ আধিপত্য স্থাপনে হীন উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দুইজনকে হত্যা করা হয়। এমন হত্যাকান্ডের মামলা দায়েরের পর একবছরেও মামলার তেমন অগ্রগতি লক্ষ্য করছিনা।
ফলে আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তভার পিবিআইকে ন্যাস্ত করা হয়েছে। অনেকদিন পর হলেও আমরা পিবিআইয়ের কর্মকান্ডে আশার আলো দেখছি। সম্প্রতি পিবিআই এই হত্যাকান্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী জহির রায়হানকে গ্রেফতার করেছে। আমরা এই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জিল্লুর রহমান সহ অন্যান্য আসামীদের দ্ররুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি করছি।
এসময় বক্তব্য আরো বলা হয়, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও বীরগাঁও ইউনিয়নের জহির রায়হানের নেতৃত্বে একটি মহল অবৈধ আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। তাদের এই অনৈতিক প্রভাব ও অত্যাচারে এলাকার মানুষ রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে জিল্লুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর তাদের দৌরাত্ম আরো বেড়ে যায়। আমাদের লোকজন তাদের নানান অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের উপর বিরাগভাজন হন।
তাদের আধিপত্য আরো পাকাপোক্ত করতে এই নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। হত্যাকান্ডের পর জিল্লুর রহমানের অবৈধ প্রভাবে তাকে আসামী করে মামলা দেওয়া আমাদের মামলা নিতে অস্বীকার করেন তৎকালীন ওসি আসলাম সিকদার। তাই তাকে ছাড়াই মামলা দিতে আমরা বাধ্য হই। আমরা এই হত্যাকান্ডে আসামী ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতার সহ বিচার দাবী করছি। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও গ্রামের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।