স্টাফ রিপোর্টার:
গাজী টেলিভিশনের (জিটিভি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে সাংবাদিক জহির রায়হানের নিজ গ্রাম জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের লোকজন এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গৌরনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে জয়নাল এবং দুলাল মিয়া নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়। ঘটনার পর দিন নিহত জয়নালের ছেলে শরিফ বাদী হয়ে ১০৪ জনকে আসামী করে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাংবাদিক জহির রায়হানকে ৯৩ নম্বর আসামী করা হয়। এই মামলার আসামী হিসেবে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে পৌর এলাকার কাউতলীর একটি রেষ্টুরেন্ট থেকে জহির রায়হানকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই’র সদস্যরা।
মানব বন্ধনে অংশ নেয়া জহির রায়হানের ছোট ভাই প্রভাষক মাজহার রায়হান বলেন, তার ভাই আওয়ামীলীগ করেন। তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। তখন থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ভাইকে বিপদে ফেলতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, জহির রায়হান এলাকায় মাদক সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার কারনে অন্য ইউনিয়নের একটি হত্যা মামলায় তার ভাইকে আসামী করা হয়েছে। তিনি বলেন, মামলায় ১০৪ জন আসামী থাকলেও অন্য কাউকে গ্রেপ্তার না করে তার ভাই ৯৩ নম্বর আসামী জহির রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামববন্ধনে অংশ নেয়া বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হোসেন সরকার বলেন, শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারনে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মামলায় আসামী করেছে। তিনি অবিলম্বে জহির রায়হানের মুক্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম বলেন, জহির রায়হান মামলার এজাহার নামীয় আসামী। তিনি বলেন, মামলার অন্য আসামীদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।