স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে শহরের প্রাণকেন্দ্র কোর্ট রোডের গোলাপ রেস্ট হাউজ সংলগ্ন পুকুর ভরাট করে নির্মিত মার্কেটটি (অস্থায়ী সুপার মার্কেট) অবশেষে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালিত হয়। প্রায় আড়াইঘন্টাব্যাপী চলা এই উচ্ছেদ অভিযানের কারণে কোর্ট রোড দিয়ে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর থেকে বাঁধা দেয়া সত্বেও গত এক মাস ধরে রাতের আঁধারে কোর্ট রোডের গোলাপ রেস্ট হাউজ সংলগ্ন পুকুরটি ধাপে ধাপে ট্রাকে করে বালি ফেলে ভরাট করে ফেলে শহরের একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যরা।
পরে সেখানে রাতারাতি টিন দিয়ে “ অস্থায়ী সুপার মার্কেট” নামক একটি মার্কেট নির্মান করে ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়। এনিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পরে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অস্থায়ী সুপার মার্কেটটি উচ্ছেদ করেন। এ সময় সদর মডেল থানার পুলিশ ছাড়া র্যাব-১৪ এর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে শতশত উৎসুক জনতা সেখানে ভীড় জমান।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, পুকুর ভরাট করে স্থাপনা তৈরির মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। অবৈধ এই স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গাটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি পুকুরে ফেলা বালু অপসারণের ও ব্যবস্থা করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে পুকুরের মালিকরা পুকুর থাকাবস্থাতেই এর শ্রেণী পরিবর্তন করে কাগজপত্রে এটিকে ভিটি বানিয়ে ফেলে। বিএস রেকর্ডে পুকুরটির মালিক পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলা গ্রামের মরহুম বজলুর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান আনিস, ফারুক আহমেদ ও গোলাপ মিয়াসহ তাদের চার ভাইয়ের নামে।