মোঃ রাসেল আহমেদ,এনবি ডেস্ক ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারকের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি করে একটি ভুয়া সাকসেশন সার্টিফিকেট তৈরী করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টার দায়ে
দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী আল মেহেদী হাসান-(৩২) এবং আদালতের ষ্টেনোগ্রাফার ফখরুল গনি-(২৮)।
গ্রেপ্তারকৃত আল-মেহেদী হাসান জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে এবং ফখরুল ইসলাম বিজয়নগর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের ওসমান গনির ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আদালত সূত্র ও পুলিশ জানায়, জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের মরহুম রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস আক্তার তার স্বামীর ব্যাংক হিসেবের ১২ লাখ ১৫ হাজার ৭৪০ টাকা উত্তোলনের জন্যে চলতি বছরের ২ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে সাকসেশন সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেন।
পরে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মেহেদী হাসান ও আদালতের ষ্টেনোগ্রাফার ফখরুল তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে একটি ভুয়া সাকসেশন সার্টিফিকেট তৈরী করে দেন। পরে নার্গিস আক্তার তাদের দেয়া সাকসেশন সার্টিফিকেটের কপি নিয়ে প্রয়াত স্বামীর ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে ব্যাংকে যান। এ সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভূয়া বলে নার্গিস আক্তারকে অবহিত করেন। ব্যাংক থেকে অবহিত হয়ে বিষয়টি নার্গিস তার আইনজীবীকে জানানোর পর তাদের প্রতারনার বিষয়টি সামনে আসে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আতিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আদালতের ভূয়া সিল সহ গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতের সোপর্দ করা হয়।