স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেতে কেউ যাতে কারো সাথে ঘুষ লেনদেন না করে সেজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলার ৯টি উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে। গত ৩/৪ দিন ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই মাইকিং করা হয়। এছাড়া স্থানীয় দৈনিকগুলোকে সর্তকতামূলক বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। আগামী ৩ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত প্রাথমিক বাছাই থেকে শুরু করে পরীক্ষার মাধ্যমে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হবে।
নিয়োগ পরীক্ষাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন খানের নির্দেশে এই সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়। মাইকিংয়ে বলা হয়, পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষা এলে একটি প্রতারক চক্র মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এবার যদি কেউ ঘুষ লেনদেন করেন আর এই বিষয়টি তথ্য প্র্রমাণসহ দেয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইওয়ান) মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ৩/৪ দিন ধরে জেলার ৯টি উপজেলাতেই পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাইকিং করা হচ্ছে। আরো কয়েকদিন মাইকিং করা হবে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগে যাতে কোন ধরনের বাণিজ্য ও ঘুষ লেনদেন না হয় সেজন্য সতর্কতামূলকভাবে জেলার ৯টি উপজেলায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে মাইকিং করা হয়। তিনি বলেন, মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হবে।