ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু নাছের বলেছেন, কৃষিকে বাণিজ্যিকরণ করতে হবে। কৃষিকে শিল্পে পরিণত করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিক ফলনশীল কৃষি পন্য উৎপাদন করতে হবে।
তিনি বুধবার বেলা ১১টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের হলরুমে আমন মৌসুমে চাষাবাদ উপযোগী বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত সমূহের পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি ও বীজ সংরক্ষণ বিষয়ক এক কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বিনা-সাব স্টেশন কুমিল্লার সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাঃ সিফাতে রাব্বানা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-পরিচালক আবু নাছের আরো বলেন, বর্তমান সরকার কৃষক বান্ধব সরকার। সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। সরকার কৃষিতে ভর্তুকী দিচ্ছে, প্রণোদনা দিচ্ছে। বিনামূল্যে সার ও বীজ কৃষকের হাতে তুলে দিচ্ছে। সরকারি সহায়তা পেয়ে দেশ এখন খাদ্যে সয়ম্ভরতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ধান আমাদের প্রধান খাদ্য। আমাদেরকে ধানের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃষিকে লাভজনক করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের কৃষক হাসলে আমরা আনন্দ পাই। তিনি বলেন, ধানের উৎপাদন বাড়াতে হলে বিনা-১৭ ধান উৎপাদন করতে হবে। এতে কানি প্রতি ৩০ মন ধান পাওয়া যাবে। এছাড়াও তিনি বিনা-৭, ১১, ১৬ এবং ২০-ধানের চাষাবাদ, এর উপকারীতা তুলে ধরেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ছাইফুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিনা-সাব স্টেশন কুমিল্লার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুর রাকিব। বক্তব্য রাখেন কৃষক শাহানুর ইসলাম, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।
কর্মশালায় ১০জন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এবং ৫০জন কৃষক-কৃষানীকে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে ৫০জন কৃষক-কৃষানীকে প্রদর্শনী ও বীজ সহায়তা প্রদান করা হয়।