নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় বড় বোনের পরিবর্তে ছদ্মনামে ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত (৩২) সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এজলাসে ধরা খেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। আটক জান্নাত জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা মার্কাজপাড়া এলাকার মৃত নূর এ মুসলিমের মেয়ে। সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার সাক্ষী গ্রহণ চলছিল। বাদি পক্ষে সাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল আলেয়া বেগম আলো নামের এক নারীর। আদালতের এজলাসে সাক্ষী দিতে আসা এক নারী নিজেকে আলেয়া বেগম আলো নামে পরিচয় দিতে আসেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষের আইনজীবী উজ্জ্বল মিয়া তাকে দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি আপত্তি জানালে ওই নারীর পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন।
পরবর্তীতে শনাক্ত হয় সেই নারী আলেয়া বেগম আলো নয়, তার আপন ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী উজ্জ্বল মিয়া বলেন, আজকে সে বড় বোনের পরিবর্তে আদালতে জমি সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসেছিল। এ সময় সে নিজেকে আলেয়া বেগম আলো নামে পরিচয় দিলে আমার সন্দেহ হয়। আমি বিজ্ঞ আদালতে আপত্তি জানালে বিচারক তার পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন।
ওই নারী আলেয়া বেগম আলো নাম লেখা অস্পষ্ট ছবির চেহারার একটি আইডি কার্ড আদালতে দেখান। এতে বিজ্ঞ আদালত আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য বলেন। এর দীর্ঘক্ষণ পর সে তার আসল পরিচয় জান্নাতুল ফেরদৌস বলে জানান। এই ঘটনায় সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম জানান, ভুয়া সাক্ষ্য দেওয়ার ঘটনায় আদালত ওই নারীকে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে।