নিউজ ডেস্ক,
জামাই পিঠা, বউ পিঠা, মালপোয়া, হৃদয়হরণ, কলাপিঠা, লবঙ্গ লতিকা, জামদানি, জুড়ি, ঝিনুক, নারকেলের ভাজা পুলি, সেদ্ধপুলি, দুধপুলি, ছিটাপিঠা, ফুলঝুড়ি, পাকান পিঠা, মাসকলাই, দুধচিতই, পাটিসাপটা, মুখ চাহনি, পানতোয়া, সন্দেশ-নেভিকুলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রসমালাইসহ বাহারি জাতের শতাধিক পিঠা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজে জেলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা নিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে হাজির হন একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষার্থীরা। সোমবার এই কলেজে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই উৎসবে নানা জাতের পিঠার মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কলেজ প্রাঙ্গণে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। বেলা ১১টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ ও শাহীন মৃধা, পরিচালক ও প্রভাষক সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক শাহাদৎ হোসেনসহ কলেজের সকল শিক্ষক। কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক, ব্যবসা শাখা ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছয়টি স্টল বসান। এসব স্টলে তাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাহারি জাতের পিঠা নিয়ে হাজির হন। এসব স্টলে শতাধিক প্রকারের পিঠা শোভা পেয়েছে।
বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বর্ণিল সাজে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। বিভিন্ন স্টলে ছিল নানা ধরনের পিঠা।
ব্যবসায় শাখা বিভাগের একটি স্টলে গিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু পিঠা চোখে পড়ে। শিক্ষার্থীরা মালপোয়া, হৃদয়হরণ, কলাপিঠা, লবঙ্গ লতিকা, জামদানি, জুড়ি, ঝিনুক, নারকেলের ভাজা পুলি, সেদ্ধপুলি, দুধপুলি, ছিটাপিঠা, ফুলঝুড়ি, পাকান পিঠা, মাসকলাই, দুধচিতই, পাটিসাপটা, মুখ চাহনিসহ শতাধিক জাতের পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন।
মানবিক বিভাগের একটি স্টলে জামাই পিঠা, বউ পিঠাসহ নানান জাতের পিঠা চোখে পড়ে।
মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার ও জেরিন আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীরা দিনটিকে উৎসবের রং দিয়েছে। তারা দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পিঠা তৈরি করেছেন। আমরা আজ সবাই মিলের বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ বলেন, একসময় বাংলার ঘরে ঘরে শীত এলে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যেত। কিন্তু এই ঐতিহ্য অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামবাংলার এই চিরন্তন ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছর আমরা এই উৎসবের আয়োজন করে থাকি।
পিঠা উৎসবের স্টলগুলোতে পাপড়ি, ঝিনুক, পাকন, রেশমি, ত্রিভুজ, ঝিলমিল, ডিম সুন্দরী, হৃদয়হরণ, বেণি, চন্দ্রপুলি, চিংড়ি পিঠাও প্রদর্শন করা হয়। বেলা পৌনে একটার দিকে কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।