নিউজ ডেস্ক,
ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫২৫টি মন্ডপে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫দিন ব্যাপী অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা। আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচদিন ব্যাপী দুর্গাৎসব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৫২৫ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে রয়েছে পৌরসভাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ৭৬টি, নাসিরনগর উপজেলায় ১২৮টি, সরাইল উপজেলায় ৪১টি, কসবা উপজেলায় ৪৫টি, আখাউড়া উপজেলায় ২৪টি, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১৩টি, বিজয়নগর উপজেলায় ৪৫টি, নবীনগর উপজেলায় ১১৪টি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৩৯টি পূজামন্ডপ।
শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মন্ডপে যাতে কোন ধরনের নাশকতা না হয় সেজন্য বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও প্রতিটি পূজামন্ডপে তাদের কর্মী বাহিনী দিয়ে পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি মন্ডপে রয়েছে মন্দির কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। পূজা উৎসবকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্ডপে মন্ডপে চলছে দর্শনার্থী ও পূজারীদের ভীড়।
সনাতন ধর্মবলম্বীরা মনে করেন দুর্গাদেবী সুখ ও শান্তির বার্তা নিয়ে প্রতিবছর তাদের মধ্যে আসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্বপাইকপাড়া গগণ সাহাবাড়ি রোড সার্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিষ কুমার সাহা জানান, এ বছর মায়ের আগমনে আমরা পুলকিত। তিথি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে আমরা সকলকে সাথে নিয়ে মায়ের রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলী অর্পন করবো।
শহরের শিব মন্দিরের পুরোহিত নন্দ কিশোর চক্রবর্তী জানান, হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী এবছর দেবী দুর্গা দোলায় আগমন করেছেন ও হাতিতে গমন করবেন। মা যেন বিশ্ববাসীকে সুখে শান্তিতে রাখেন সেই প্রার্থনা করবো।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি সঞ্জীব চন্দ্র সাহা (বাপ্পী) জানান, এছর জেলায় ৫২৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠক হয়েছে। আশাকরি শান্তিপূর্নভাবে পূজা পালন করতে পারবো।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জেসমিন সুলতানা বলেন, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্নভাবে উদযাপনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের ঝামেলা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।