নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে লিটন মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নির্বাহী কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের সাবেক এমপি মজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ ৬৭ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে সরাইল থানায় এ মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাতনামা আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত লিটন মিয়া উপজেলার কাটানিশার গ্রামের মুজান মিয়ার ছেলে। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। লিটন মিয়ার সাথে মামলার বাদী সুলতান উদ্দিনের কী সম্পর্ক, তা মামলায় উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে সুলতান উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ থেকে হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন করেছিল। ২৮ মার্চ সরাইল বিশ্বরোড মোড় এলাকায় ওই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন লিটন মিয়া-(২৭)। সেখানে আসামিদের গুলিতে তিনি নিহত হন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকেয়া বেগম, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আছমা আক্তার, সাবেক খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সমর ভৌমিক, জেলা পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা, শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল হুদা চৌধুরী, পানিশ্বর ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।
এ ব্যপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।