নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনশুমারি ও গৃহগণনা এর রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি জেলায় সাক্ষরতার হার গত ১০ বছরে ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭২ শতাংশ হয়েছে। কমেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। সেটা ১.৬৮ থেকে নেমে ১.৩৫ এ এসেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি, ২০২২ সালে হওয়া শুমারি অনুযায়ি জেলার বর্তমান লোকসংখ্যা ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩ জন। এর মধ্যে ৪৭ ভাগ হারে পুরুষ ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২৬২ জন ও নারী ৫৩ ভাগ হারে ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৫ জন। হিজড়ার সংখ্যা ১৫৬ জন। ২০১২ সালের সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ি সাক্ষরতার হার ছিলো ৪৫.২৯, যা ২০২২ সালে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২.১২। সাক্ষরতার দিকে থেকে পুরুষের চেয়ে নারী এগিয়ে। পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭১.৭৪, নারীদের সাক্ষরতার হার ৭২.৪৪।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই লাখ ৭১ হাজার ১৪৫ জন প্রবাসে থাকেন। সবচেয়ে বেশি নবীনগর উপজেলার ৫৭ হাজার ৯৮ জন প্রবাসে থাকেন। শুমারি চলাকালীন ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি ৪১.৭০ জন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছিলেন না, কাজে নিয়োজিত ছিলেন না কিংবা বৃত্তিমূলক কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহন করেননি। এর মধ্যে ৫৭.৩২ ভাগ নারী ও ২০.১৯ ভাগ পুরুষ।
পাঁচ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে ৮.১৬ ভাগ ধর্মীয় শিক্ষা নিচ্ছেন। সাধারন শিক্ষায় আছেন ৮৮.২১ ভাগ। কারিগরি শিক্ষায় ০.৩৪ ভাগ। অন্যান্য শিক্ষায় আছেন ২.৪৮ ভাগ। জেলায় মুসলমান ৯৩.২৯ ভাগ। হিন্দুর সংখ্যা ৬.৬৮ ভাগ।