নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী মাঠ সমান্তরাল নয় বলে অভিযোগ করেছেন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী (ঘোড়া প্রতিক) মোঃ হেলাল উদ্দিন। রোববার (২ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হেলাল উদ্দিন জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের অনুজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি।
নির্বাচনী মাঠ সমান্তরাল নয় দাবি করে মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন প্রার্থীর একটি অফিস থাকার কথা থাকলেও তার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০/২৫টি করে অফিস রয়েছে।
তিনি কোন প্রার্থীর নাম উল্লেখ না করে বলেন, তার প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা নানাভাবে আচরণবিধি লংঘন করেছে এবং নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে কেন্দ্র দখল করার ষড়যন্ত্র করছে। তার প্রচার-প্রচারণায় কেউ আসলে তাকে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকরা নানা ভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। তিনি নির্বাচনী এলাকার শতাধিক কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ন মনে করছেন।
তিনি ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সেই পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নির্বাচন পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান। আমি ইতিমধ্যেই ঝুঁকিপূ্র্ণ কেন্দ্রগুলোর তালিকা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিয়েছি। তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে যদি আমি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে মাননীয় প্রধানন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার গতিময়তায় ও মাননীয় গণপূর্ত মন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে এবং উপজেলাবাসীর বাসীর মতামত ও পরামর্শে উন্নত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা গঠনে নিবেদিত থাকবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবদুল করিম তপন, জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের ছেলে তারেক মোহাম্মদ আলী (তারেক মাখন) প্রমুখ।