নিউজ ডেস্ক,
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, মন্ত্রীত্ব কোন বড় বিষয় নয়, দেশের জন্য কাজ করা হলো বড় কথা। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প বন্ধ করে দিয়ে শহরে ও গ্রামে পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উচ্চতর আসনে পৌছেছে। তিনি বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে তাঁকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, সারাদেশেই বহুতল বিশিষ্ট এপার্টম্যান্ট নির্মাণ করা হবে। ওইসব এপার্টম্যান্টে প্রবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট সংরক্ষিত থাকবে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে একটি উপ-শহর গড়ে তোলা হবে। যার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। শহরের পূর্বপ্রান্তে তিতাস নদীর পাড় দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। যার নকশার কাজ শেষ হয়েছে। প্রকৌশলীরা এলাকা সরজমিন পরিদর্শন করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাল্টিপারপাস মিলনায়তন নির্মাণ করা হবে। শিশুদের বিনোদনের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি শিশু পার্ক গড়ে তোলা হবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শহরে ইদানিং বেশ কয়েকটি ছিনতাই সংগঠিত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাই-চাঁদাবাজি বন্ধ ছিলো। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ছিনতাই হয়েছে। অবশ্যই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাই-চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। তিনি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অসব অপকর্মের সাথে যদি আওয়ামীলীগ বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেউ জড়িত থাকে অবশ্যই তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। সামনে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে যাতে কেউ কোন ধরনের বিশৃংখলার সৃষ্টি না করে সেদিকে পুলিশকে নজরদারি বাড়াতে হবে।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমরা যদি যে যার অবস্থানে থেকে ন্যায় সঙ্গত কাজ করি তাহলেই দেশ থেকে দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আদর্শ মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার সীমানা বর্ধিত করার কাজ চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে একটি নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে ভিসি প্রফেসর ডঃ সৈয়দ শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এবং বাচিক শিল্পী মোঃ মনির হোসেনের পরিচালনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মাহমুদুল হক ও কাজী শফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাস্টি বোর্ড ও পিএসসির সদস্য প্রফেসর ডঃ দেলোয়ার হোসেন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাস্টিগন, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।