নিউজ ডেস্ক,
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩টি আসনের প্রার্থী ছিলেন সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচন করেন। কিন্তু রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩টি আসনেই তিনি জামানত হারিয়েছেন।
সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের ( সদর উপজেলা) মাছিহাতার বাসিন্দা। কিন্তু তিনি এ আসনে নির্বাচন করেননি। বাকি তিনটি আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি একাই। রবিবার নির্বাচন শেষে ফলাফলে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৫২টি। এ আসনে সর্বোচ্চ ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র কলারছড়ি প্রতীকের প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈন। এই আসনে বৈধ ভোট পড়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ১১৯টি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সে অনুযায়ী ৮ ভাগের এক ভাগ ভোটের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৪০ ভোট না পাওয়ায় সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে নৌকা প্রতীকে দুই লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ আসনে সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ফুলের মালা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট। আসনটিতে মোট বৈধ ভোট পড়েছে দুই লাখ ৩১ হাজার ৮২৭। নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ২৮ হাজার ৯৭৪ ভোট না পাওয়ায় সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনেও সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ পেয়ে জয় পেয়েছেন ফয়জুর রহমান বাদল। আর সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ফুলের মালা প্রতীকে ৭৭৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, কোনো আসনে পড়া মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।