স্টাফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে কার্ডধারী হয়েও ভাতা পান না প্রতিবন্ধী মোছাঃ আসেদা বেগম-(৩৬)। ভিক্ষা করেই চলছে তার সংসার। নিজের কোন জায়গা জমি না থাকায় অন্যের বাড়িতেই স্বামীকে নিয়ে বসবাস করেন।
বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার কন্যা আসেদা বেগম। জন্মগতভাবে বুদ্ধি ও শারিরীক প্রতিবন্ধী।
গত কয়েক বছর আগে নূর মোহাম্মদ-(৫২) নামে মানুষিক প্রতিবন্ধীর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে নিয়ে প্রতিবেশী আবদুল খালেকের বাড়িতে বসবাস করেন আসেদা বেগম। তাদের কোন সন্তান নেই। আসেদা বেগম গ্রামে ঘুরে ভিক্ষা করে যা পান তা দিয়েই কায়ক্লেশে তার সংসার চলে। পাড়া-প্রতিবেশীরাও মাঝে মধ্যে তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করেন।
আসেদা বেগম জানান, তার মা-বাবা নেই। গত কয়েক বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে। নিজের বাড়ি না থাকায় অন্যের বাড়িতে বসবাস করেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ৫ বছর আগে তিনি একটি প্রতিবন্ধী কার্ড পেয়েছেন। (কার্ড নং ১২১১৩৬৬৫৭৫৪৪৩৫-০৬)। কিন্তু কার্ড পেলেও তার ভাগ্যে এখনো জুটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা। আসেদা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, এই কার্ড ঘরে রেখে লাভ কি?
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) নাছির মিয়ার কাছে কাছে ধর্ণা দিলেও তিনি কোন সাহায্য করেন নি। মেম্বার তার পরিচিতজনদের ভাতা দেয়, কিন্তু আমি পাইনা।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নাছির মিয়া বলেন, কার্ড থাকলেই ভাতা পাওয়া যায়না। ভাতা পাওয়ার জন্য কার্ডের বই বানাতে হয়। তিনি আসেদা বেগমকে দ্রুত ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খন্দকার বলেন, আমার কাছে যদি আসেদা আসেন তাহলে আমি অবশ্যই প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেব। এখন যেহেতু আমি অবগত হয়েছি অবশ্যই আমি ব্যবস্থা করে দিব।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা আফরোজা আফরিন বলেন, কার্ড থাকার পরও ৫ বছর ধরে আসেদা ভাতা পাচ্ছেনা এটা দুঃখজনক ঘটনা। আসেদা বেগম কার্ডটি নিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করলে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিব। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করছি কেন এমনটি হলো।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত জানান, আমি সমাজসেবা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে আসেদা বেগমকে ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিব।