নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকার উৎখাতের ‘ষড়যন্ত্রের’ অংশ হিসেবে নৈরাজ্য ও নাশকতা করার অভিযোগে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো দেড় থেকে দু’শ জনকে আসামী করা হয়েছে। রোববার রাত সোয়া আটটার দিকে মামলাটি থানায় রেকর্ডভুক্ত হয়। মামলার বাদী বিজয়নগর থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মোঃ ইউনুস মিয়া।
মামলায় আসামী হিসেবে নাম উল্লেখ করা ১৫ জনের। তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী। ওই ১৫ জন উপজেলার পৃথক ১৪টি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলার ভিটি দাউদপুর গ্রামের হোসাইন মিয়া, খাটিঙ্গার এমরান হোসেন মনির, একতারপুরের মোঃ দর্পণ মিয়া, চান্দুরার সুনির্মল সাহা, ইসলামপুরের ইজাজুর রহমান রাকিব, সাতবর্গের মোবারক হোসেন, সাটিরপাড়ার সাদ্দাম হোসেন, আদমপুরের মোঃ শফিকুল ইসলাম রাজভী, নোয়াগাঁও এর ইকবাল, পেটুয়াজুড়ির জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, চাঁনপুরের জাহাঙ্গীর মৃধা, খাদরাইলের জিয়াউল হক বকুল, সাতগাঁওয়ের কাউছার মিয়া, সাতবর্গের রাসেল মিয়া। এর মধ্যে হোসাইন মিয়া ও এমরান হোসেন মনিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ২৫টি ইটের টুকরা ও ১৮টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশের জব্দ তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া তার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, ১৩ নভেম্বর রাতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তিনি আমতলী বাজারে অবস্থানকালে খবর পান যে চান্দুরা এলাকায় নাশকতার জন্য কিছু লোকজন জড়ো হয়েছে। রাত (১৪ নভেম্বর) ১২টা ২৫ মিনিটে সেখানে ছুটে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে দু’জনকে আটক করা হয়। এ সময় তারা জানতে পারেন গণবিপ্লবী সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে নাশকতা করতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা- কর্মীরা একত্রিত হয়েছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া দু’জনের কাছ থেকে কিছু আসামীর নাম পান তারা।